‘টম অ্যান্ড জেরি’ সম্পর্কে মোটামোটি আমরা সবাই অবগত। এটি একটি আমেরিকান অ্যানিমেটেড মিডিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজ, কমেডি সিরিজ। ১৯৪০ সালে উইলিয়াম হানা এবং জোসেফ বারব্যারা এটি শুরু করেন। টম নামের একটি বিড়াল এবং জেরি নামক একটি ইঁদুরের মধ্যে প্রতিদন্ধিতাকে কেন্দ্র করে সিরিজটি চলছে বহুবছর। অবশ্যয়ই সেই প্রতিদন্ধিতায় শিক্ষনীয় কিছু রয়েছে। বুঝতে হবে নির্মানে “কারা।”
চরিত্রের বৈশিষ্ট বলে কিছু একটা রয়েছে। চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি হল একজন ব্যক্তির আচরণ এবং মনোভাবের সমস্ত দিক যা সেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে তৈরি করে। ভাল-মন্দ মিলিয়ে প্রত্যেকেরই চরিত্রের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এমনকি বইয়ের প্রতিটা অক্ষরেরও চরিত্রের বৈশিষ্ট্য আছে।
এই যেমন, মাস্টারি! নিউইয়র্কের বিদ্যালয়ে পুলাপনের ভবিষ্যত গড়তে গিয়ে ‘স্বভাব-খাসিলত’ এমন হযেছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেও কখনো কখনো আপনাদের জ্ঞান দিতে শুরু করি। জ্ঞান দেয়া-নেয়া ভাল কাজ, তবে কখনো কখনো এটা কারো জন্য বিরক্তিকরও।
যাই হোক, নর্তকীরা মঞ্চ থেকে নেমে ঘরের বাহির হলেও কিন্তু ‘কোমর দোলানো’র খাসিলত থেকেই যায়। -বুঝতে হবে। তাই মাস্টারদের অভ্যাসও ক্লাসরুমের বাহিরে যায়।
ইঁদুরদের অবস্থান অন্ধকার গর্তে, গর্তেই তাদের রাজ্য। কিন্তু তারাও বাহির হয়।
নিজ গর্ত ছেড়ে বাহির হতে গেলেই তাদের পৃথিবীর আলো দেখার ভয়। তাই তারা চুপিচুপি গর্ত থেকে বের হয়, তারপর ডানে-বামে উঁকি দিয়ে শূন্য মাঠে অবশেষে দেয় দৌড়; বিড়ালকে খাঁমচি দিবে বলে।
ধারালো নখবিহীন ইঁদুর ভুলে যায় নিজ সাইজ ও ওজনের কথা।
যেতে যেতে আবার ধূর্ত ইঁদুর আশেপাশের জলবাযু, তাপ, আকাশ-বাতাস, বৃক্ষদের কানে কানে বলে যায়,
“ওহে! শোনছো! পৃথিবীর সেরা আশ্চর্য্যময় চোখের অধিকারী বিড়ালটির উঠোনে কখনো যেও না, ওখানের আকাশে কোন চাঁদ নেই। জ্যোৎস্নারাত নেই, তোমরা বরং নিজ গর্তেই থাকো।”
এভাবেই ইঁদুররা তার সঙ্গীদের স্বচ্ছ আকাশ, বৃহৎ জমিন, মুক্ত বাতাস নেবার সুযোগ দমিয়ে রাখে।
সেই ইঁদুরদের গলায় আবার থাকে, লম্বা অগ্রীম ফাঁসির রশি। তারই ঠিক উপরে, রক্তলাল ফোঁটা।
Post Views:
199
Published by HB Rita on Wednesday, December 15th, 2021
আমরা যখন ইঁদুর
Published by HB Rita on Wednesday, December 15th, 2021