মৃন্ময় ৭৮

তুমি বললে আমরফোফালুস টিটানুম এনে দিতে পারি
কিংবা সেইপ্রিপেডিয়াম কালকাল্স
অথবা হেঁটে যেতে পারি গাঢ় ধুম্রকুয়াশার বনে
যেখানে সরু ডালের আগায় মনুয়া পাখি বসে দোল খায়।

তুমি চাইলে ভরা পূর্ণিমায় তোমার হাত ধরে
বিপদসংকুল কাঞ্চনজঙ্ঘা ঘুরে আসতে পারি নিমিষেই
অত্যুজ্জ্বল রৌদ্র থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে বৃষ্টি হয়ে
ভিজিয়ে দিতে পারি লুৎ মরুর বুকের দহন।

তুমি হাত বাড়ালেই সংসারের জটিলতা উপেক্ষা করে
আলিঙ্গনে মত্ত মেঘমালার বুকে এঁকে দিবো
“দ্য উইমেন অফ আলজিয়ার্স”
বিনয় ছেড়ে স্পর্ধা বাড়িয়ে স্বৈরী উন্মাদ প্রাণে
গঙ্গার তীরে চিতা কাঠ হয়ে জ্বলে যাবো।

তুমি চাইলেই ট্রিস্টিন দ্য চানহারে পাড়ি দিবো
কিংবা খাড়া চূড়া থরে তরতর করে উঠে যাবো।
তুমি ছুঁয়ে দিলেই শর্তহীন চোখের জলে পূর্ণপ্রাপ্তির নিঃশ্বাসে
লাফিয়ে পড়বো শূন্য থেকে জমিনে।

তুমি ডাকলেই শত জন্মের দুঃখ ভুলে নিঁপুণ হাতে
আবারো সাজাবো সুখের সংসার!
দু’টি বাসন দু’টি বালিশ
ভালোবাসায় ফুলতোলা একটি চাদর
জানালার পাশে কাঁঠালচাপা অথবা সন্ধ্যামালতী
মধ্যাহ্নভোজে ডাল-চচ্চরি, সাথে বেগুন ভাজা
তৃপ্তিতে খেয়ে নিবো।

তুমি বললেই দিন শেষে তুমি-আমি
পাশাপাশি মুখোমুখি হবো
সিঁথির ভাঁজে কামুক চুম্বন গুঁজে দিয়ে ভালোবাসা শেষে
গায়ে হাত রেখে দু’জনে ঘুমিয়ে পড়বো।

মৃন্ময়, এসো আজ ভালোবাসি ব্যবধান ভুলে।