এভাবেই ক্রমশ রাস্তা যায় সরে
সকালে এক কদম, দুপুরে দুই সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত,
বিরতিহীন নীরবতায় অস্ফুট গোঙানি
মনে হয় আজ নয়, কথা হোক কাল
তারপর দীর্ঘ বিরতিতে এভাবেই ব্যবধান বাড়ে।
পাশাপাশি বিপরীতমুখী দুটি নিষ্প্রাণ দেহ
আলোচনা সময়ের দাবী, বোঝেনা কেহ
ঝুলে থাকা ফ্যানে নিঃশ্বাস বাতাস ছড়ায়
লাগামহীন শেকলবাঁধা অক্ষমতা জন্মবৃত্তান্ত খুঁজে;
শুয়ে পড়ে এলোমেলো ভাবনায় ক্লান্তিহীন; লাশ হয়ে।
এভাবেই ক্রমশ দূরত্ব বাড়ে কারণে-অকারণে
বিষণ্ণতা হয়ে প্রতিশোধ নেয় প্রতিরাতে
দীর্ঘশ্বাস উড়ে যায় সুদূর আকাশে মেঘ হয়ে
দ্বায়বদ্ধ জীবন আজন্ম মরে খাঁচার পাখী হয়ে।
চোখ ভিজে উঠে অন্ধকার নির্জনতা ভেঙ্গে
বুকে মরণ পুষে অভিমান তরতর করে বাড়ে
ভাঙ্গা পাজরের নিচে সম্পর্ক সমাধীর কবর খুঁড়ে
একা একা জ্বলে যায় জলজ ঘ্রাণে স্বস্তির খুঁজে।
এভাবেই ক্রমশ ব্যবধান বাড়ে তোমার মাঝে, আমার মাঝে
বরফের মত বুকের ভিতর বীভৎস স্বপ্নের
নিষ্ঠুরতা প্রতিশোধের শব্দ খুঁজে বুক জ্বালিয়ে দেয়
অবরুদ্ধ মন ঘুমিয়ে পড়ে অনুভূতির কাছে হার মেনে
অদূরে ফুঁসে উঠে সমুদ্র জল; সবুজ অরণ্যে নীল ফুল
শেষ রাতে বাক্যহীন অন্তরদ্বন্ধে কেঁদে উঠি আঁচলে মুখ টেনে!
এভাবেই ক্রমশ রাস্তা যায় সরে
জল স্পর্শের মত ছুঁয়ে যাওয়ার ইচ্ছা,
মনের কাঁচা ভিটায় রংহীন জন্মান্ধ জ্যোৎস্না ছুঁড়ে দেয়।
এভাবেই একদিন, তৃষ্ণার্ত চোখে নীল স্থির হয়ে যায়।
মৃন্ময় ৭৩
Published by HB Rita on Wednesday, August 2nd, 2017