বহুদিন, বহু বছরের সম্পর্কগুলো হুট করেই একদিন ভেঙে যায়। কারণে অকারণে ভেঙে যায়। যে মানুষটা একদিন ছিল বেঁচে থাকার উপকরণ, সেই হয়ে যায় মৃত্যুর প্রধান কারণ।
এই ভাঙার কোনো কারণ থাকে, কোনো ব্যাখ্যা থাকেনা। ব্যথা থাকে পুরো বুক জুড়ে, উপশমের কোন মন্ত্র থাকে না।
সময়ের সাথে পাখির পালকে উড়ে যাওয়া মানুষগুলো বলে, খুব মন্দ হয়েছে! কাজটা ভাল হয়নি।
ধ্বসে যাওয়া মানুষটাই কেবল জানে, ভাল কাজটা তার জন্য কখনো ছিলই না।
অন্ধকারের ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে আসা শিয়াল ডেকে যায়, হুককা হুয়া! হুককা হুয়া! খেতে খেতে উদরপূর্তি, শখ তবু বাকি রয়ে গেল?
অথচ শিয়ালের দল কখনোই জানবে না, মানুষটা প্রতি রাতে ভীষণ ক্ষুধায় ছিল।
সময় এগিযে যায় নিয়মমত।
ঘন্টার পর দিন, দিনের পর মাস-বছর।
মানুষটার কেবল গিঁটে ঝং ধরে, বদলে যায় পথ ঘাট, পুরনো শহর।
ক্ষুধায় আহত শিশু চিৎকার করে কাঁদে। ভিক্ষারী অন্নের খুঁজে। মানুষটা কেবল বাতাস খেয়ে বাঁচে। কে কার যাতনা বুঝে?
এভাবেই সম্পর্কের দেয়ালে শৈবাল জন্মে। অতপর একদিন, সে দেয়ালটাও ধ্বসে পড়ে।
এভাবেই নপুংসকেরা, জন্মের পরিচয়ে একদিন জীবনের বৃত্তান্ত খুঁজে।
Post Views:
171
নপুংসকেরা
Published by HB Rita on Sunday, August 16th, 2020