HB Rita's Official WebsiteHB Rita's Official Website
HB Rita's Official Website
  • Facebook
  • Twitter
RSS
  • Home
  • My Poems
    • বাংলা কবিতা
    • মৃন্ময় সিরিজ
    • English Poems
  • Short writing
    • রচনা
    • গল্প
  • Thinking the Humanity
    • Social Activities
  • Parenting and Mental Health
  • Articles
    • প্রবন্ধ-নিবন্ধ
  • About me
    • Contact

টানাপোড়ন

ছেলেটা সেই কখন থেকে গাল ভার করে আছে বাবার কাছে যাবে বলে।  আট বছরের ছেলেকে শায়লা কিভাবে বুঝায় যে, বাবাকে চাইলেই পাওয়া যাবে না! শায়লা পরম আদরে ছেলের মাথায় হাত রাখে, তার ভেতরটা কেঁদে উঠে।  ছেলেকে ডাকে, -হামি -হুম। ঠোঁট ভেঙে হামি জবাব দেয়। -বাবা সামনের সপ্তাহে আসবে তোমাকে দেখতে -নাহ! আমি বাবাকে এখন দেখতে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Saturday, September 21st, 2013

জীবনচক্র-ছন্দপতনে মৃত্যু যন্ত্রণা

চাহিদা মানব সৃষ্টির এক বিশাল প্রয়োজন। তিনবেলা খাওয়া, ভাল কাপড়, একটু ভাল থাকা, বেশি না হোক সামান্য সুখ, এক টুকরো জমিন, কিছু প্রাপ্তি, একটু ভালবাসা, একটা পরিবার….. এ সবই আমাদের প্রয়োজন। প্রয়োজন যে সব সময় পূরণ হয়, তা নয়। চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণ হলে ভালো! না হলেই বিষাদে আমাদের মন ভারাক্রান্ত হয়। পৃথিবীর বুকে অগনিত অসুখী মানুষ […]

Continue reading

Published by HB Rita on Sunday, February 1st, 2015

বেঈমানের বেটি নাজমা

বেঈমানের বেটি নাজমা

শমশের আলীর মা চেঁচাচ্ছেন। রাগে তার চোখমুখ ফেটে পড়ছে। পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন শমশের আলী। “তরে কইসিলাম রে শমশের….বউরে দুনিয়া চিনাইস না! হেরে কলেজ যাইতে দেইস না! কথা হুনলি না, অহন বুঝ! বউ তালাকনামা লইয়া আইসে! বংশের ইজ্জত আর রইলো না। কুলাঙ্গার পুলা তুই গলায় দড়ি দে। এই দিন দেহার লাগি কি বউরে কলেজ পাঠাইসিলি রে শমশের? ওহ আল্লাহ! ওই বেঈমান বেডির বিচার করো। আমার পুলারটা খাইয়া পিন্দা হে আমার পুলার লগেই বেঈমানি করলো!”  শমশের আলীর মা মাটিতে বসে সেই কখন থেকে কাঁদছেন আর অভিশাপ দিয়েই যাচ্ছেন নাজমাকে।  নাজমা খুব শান্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে নারিকেন গাছটার গায়ে হেলান দিয়ে। হাতে তার সাদা কাগজে সিল মারা একটি খাকি রঙের বিবর্ণ খাম।  আজ আকাশে মেঘ করেছে। ভোর থেকেই মেঘের গুরু গুরু শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো। আলো ফুটতেই বাজের ঝলকানি আর বৃষ্টি।মা বলেছিল, “যাইস নে নাজমা। তাগর কোন ভরসা নাই, কী থেইকা কী কইরা বয়! কাউরে দিয়া খাম পাঠাই দিমু নে।” নাজমা তবু বের হলো। সাদা কাগজে জীবনের কালো অধ্যায়টুকুর সমাপ্তি সেরে এখন সে ঝড়বৃষ্টি মোকাবেলায় প্রবল উদ্যম। আজ মৌতাতের মতই যেন যা আছে বাকী তা শেষ করার তাগিদ অনুভব করছে নাজমা। শ্লোক বাজছে। ভেতরের সব তাপ–উত্তাপ সব মহাকর্ষীয় সুর হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রান্তের দিকে। আজ শেষটুকু শেষ হতেই হবে।  এখন অবশ্য বৃষ্টি নেই, আর্দ্রীকৃত ভূমিতে রোদের কোন তাপও নেই, যা আছে তা ক্যাতক্যাতে কাদা, সাথে ভিজা পায়ে ছিঁড়া স্যান্ডেল।   নাজমা বেগম আর শমশের আলীর সংসার ছিল ছয় বছরের। একটি মেয়ে রয়েছে তাদের। স্বামী মাদকাসক্ত, পাড়ার লোকেরা বলেন ‘মদখোর’/’গাজাখোর! নাজমার বয়স যখন ১৮, তখন তার বিয়ে হয় শমশের আলীর সাথে। বিয়ের বছর খানেক পরেই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। নাজমা বিয়ের পর থেকেই জানতো তার স্বামী মাদকাসক্ত।  কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের একটি মেয়ে হয়ে, সংসারে থেকে যাওয়া ছাড়া বিকল্প আর কিছুই ছিল না তার সাধ্যে। এ নিয়ে নাজমা তার বাবাকে কিছুই জানায়নি। কারণ সে জানে, জানিয়ে কোন কাজ হবেনা, তার বাবাও মাদকাসক্ত।  মা’কে বলেছিল সব। কিন্তু মায়ের অশ্রু বিসর্জন দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা। নাজমা বহুবার বাধা দিতে চেয়েছে শমশেরকে। কোন লাভ হয়নি। উল্টো এ নিয়ে কথা বলতে গেলেই নাজমার উপর চলতো গালাগালি, শারীরিক নির্যাতন।  শাশুড়ী বলতেন ”সহ্য করো গো মা। আমরা এর থেইকাও অনেক বেশী কিছু সহ্য কইরা সংসার করসি। কার ঘরে নেশাপানি না হয়! পুলারা এরুম একটু আধটু করেই।  কি আর করা! মাইয়া মানুষের কপালই এমন।”  নাজমা তার মা–শাশুড়ির মত ‘মাইয়া লোকের কপাল’কে মানতে চায়নি। সে চেয়েছিল একটি ‘নিজ’ কপাল গড়তে।  তাই সে উপায় খুঁজছিল কিভাবে এই সঙ্কট থেকে মুক্ত হওয়া যায়।  নাজমা চায়নি তার সন্তান বড় হয়ে কোনদিন একই নিয়মে জীবন টানবে, অধিকার,স্বাধীনতা ভুলে গিয়ে অন্যায়, অত্যাচার মেনে নিয়ে কারো ঘর করবে। নাজমা চেয়েছে পরিবর্তন। আর তাই সে দীর্ঘদিন চেষ্টার পর খুব কৌশলে স্বামীকে মানিয়ে নিয়ে প্রতিবেশীর সাহায্যে কলেজে ভর্তি হয়। নাজমা পড়াশুনা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।  কারণ সে জানতো, প্রতিবাদ করতে হলে, নিজ অধিকার আদায় করতে হলে তাকে স্বাবলম্বী হতে হবে। তাকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে হবে। সহজ ছিল না পড়াশুনা নিয়মিত করা। তবু সব কিছু মেনে নিয়ে নিজ নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে নাজমা তার প্রচেষ্টায় অটল থেকেছে। কতবার যে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে নাজমার সমস্ত বই খাতা ছিঁড়ে ফেলেছে শমশের!  তবু একটা শব্দ উচ্চারণ করেনি সে, ছিঁড়ে ফেলা টুকরো টুকরো কাগজগুলো একসাথে করে স্কচটেইপ লাগিয়ে পড়েছে।  এভাবেই নাজমা কলেজ পর্যন্ত তার পড়াশুনা শেষ করতে পেরেছে। নাজমা তখনো চাকরিতে ঢুকেনি। একদিন মাঝরাতে শমশের ঘরে ঢুকতেই ঝাঁপিয়ে পড়লো নাজমার উপর।  তার শরীরে তখন এলকোহলের গন্ধ, সাথে গাঁজার ঝাঁজালো গন্ধে নাজমার বমি হবার যোগার হলো। এই গন্ধ নাজমা সয়ে আসছে সেই ছোটবেলা থেকে। বাবার গায়েও এমন গন্ধ থাকতো।  কিন্তু মাকে কখনো নাজমা প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখেনি। তবে নাজমা মনে মনে ভীষণ রাগ করতো। মায়ের নীরবতা তাকে আরো বেশি হতাশ করতো।  ধাক্কা দিয়ে নাজমা তাকে সরিয়ে দিলো। শমশের চিৎকার করে উঠলো। পাশেই শুয়ে ছিলো তাদের ছোট শিশুটি। সেও জেগে উঠলো, তাকিয়ে রইলো পিটপিট চোখে।  শমশের তখন ইতিমধ্যেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো। ক্রমাগত চঢ় কষতে লাগলো তার গালে, গায়ে। ছোট মেয়েটি তখন কাঁথা গায়ে মুখঢেকে থরথর করে কাঁপছিলো।  এই প্রথম সেদিন নাজমা শমশেরকে থামাতে ধাক্কা মেরে খাট থেকে ফেলে দিলো। হঠাৎ করে ধাক্কা খেয়ে শমশের মেঝেতে পড়ে গেল। অতিমাত্রিক মাদক সেবনে আর উঠতে পারলো না।  পরদিন সকাল পর্যন্ত মেঝেতেই পড়ে রইলো। এই প্রথম নাজমা প্রতিবাদ করতে শিখলো। আর সেটাই হলো কাল, অনিরাপত্তা ও হিংস্রতা বাড়িয়ে দিলো শমশের আলী ও তার পরিবারের।  দিন দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়তে লাগলো। একটা সময় নাজমা তার মেয়েকে নিয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হলো।  যখন নাজমা শমশের আলীকে তালাক দিতে সিদ্ধান্ত নিলো, তার বাবা বাধা দিলো। কিন্তু মা কিছুই বললো না। নাজমা অবাক হলো।  জানতে চাইলো মায়ের নীরবতার কারণ।  মা বললেন, “শোন নাজমা। আমি যা করতে পারিনাই, তুই তা করতে পারবি, কারণ তুই আইজ নিজেরে শিক্ষিত বানাইসোস।আইজ তুই ভালা একটা চাকরি কইরা নিজ পেট, নিজ সন্তানের পেট চালাইতে পারবি। নেশাখোর স্বোয়ামির লগে তোর ঘর করন লাগবো না।  এই পুরুষগর দেমাগ কই জানোস? তাগর দেমাগ আসলে পুরুষ বইলা না, তাগর দেমাগ হইলো মাতব্বরিতে। এই যে পকেট থেইকা ট্যাকা বাইর কইরা সংসারে তেল, ন্যূন, চাল–ডাইল যোগান দেয়, হেইডাই তাগর দেমাগ। এই যোগান অহন তুইদিবি। হেরপর দেখ, তাগর দেমাগে কেমনে আগুন লাগে।”  নাজমা বলেছিল, ‘মা। তুমি এতকিছু জানো, বুঝো, অথচ বেঁচে থেকেও তোমার নিজের জীবনের একটা দিন উপভোগ করতে পারলে না?’ মা তখন চোখ মুছতে মুছতে শুধু বলেছিল, ‘সুযোগ পাইনাই রে মা। আমার সুযোগ আছিল না।! আমি যা ঢোঁক গিলা হজম করসি, তুই হেইডা করবি না।‘  হ্যাঁ! নাজমা সেটা করেনি। নাজমা চায়নি তার শিশু মেয়েটি কাঁথার ভিতর মুখ লুকিয়ে চোখ পিটপিট করে মাঝরাতে ভয়ানক সব তান্ডব দেখুক।  সে চায়নি শিশু মেয়েটি আতঙ্ক নিয়ে বেড়ে উঠুক, মানসিক সঙ্কটে পড়ুক। নাজমা চেয়েছে তার মেয়েটি একটা সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠুক। একটা নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে উঠুক।  শমশের আলীর মা নাজমার দিকে তাকিয়ে তখনো চিৎকার করেই যাচ্ছেন…’যে স্বোয়ামি  তোরে ভাত দিলো, কাপড় দিলো, জায়গা দিলো, পড়ার সুযোগ দিলো, তুই কিনা হেই স্বোয়ামির পিঠে লাথি মারলি? এ লো বেঈমানের বেটি নাজমা…………!’ 

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, March 2nd, 2015

প্রসূতি

এক সমুদ্র জলরাশি চোখের কোণে তখনো স্থবির ইন্দ্রিয় সচল দৃষ্টিপাত বরফ শীতল, রুদ্ধ কারায় মহাপ্রস্থানের অপেক্ষায় বন্দিনী এক জীবনের সমাপ্তি অনাকাঙ্ক্ষিত যাত্রায়; কিছু ব্যর্থতা, কিছু প্রাপ্তি।   রাষ্ট্রীয় দণ্ডবিধিতে দণ্ডিত, সামাজিক অপরাধে আলোচিত; নয় বিবেচিত তিনি রুক্ষ, নিশ্চিত শ্রেষ্ঠ তিনি একজন প্রসূতি।   প্রসূতির বুকের গহীনে বিশাল একটি নীল পাথর পিচ্ছিল শ্যাওলা জমা পথ; স্তুপাকারে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, May 2nd, 2016

দ্রোহীকন্যা

  আকাশনীলায় লালিত বহু বছরের দ্রোহ একদিন প্রবল বর্ষণে ধরাশায়ী হলো ধরণীর জমিনে দ্রোহবর্ষণে হাঁটুজল থৈ থৈ চারিধার ছন্দের পতন মিশে একাকার তপ্ত রৌদ্রশিখায় জলজ জ্বলন্ত আত্মা হয়ে, বাষ্পীভূত হয়ে উঠলো দ্রোহীজল। রক্তে ভেসে গেলো সে জলের দ্রোহ জমিনের বুক চিরে অগ্নুৎপাত ঘটিয়ে জেগে উঠলো এক দ্রোহীকন্যা।   জমিন ফেটে আর্তচিৎকারে হামাগুড়ি দেয়া দ্রোহীকন্যা…. দেখে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Wednesday, February 18th, 2015

মন্টুর ময়না বু

  ১ কাদা মাটি জলে শত শত পিপীলিকা এদিক-ওদিক দিশেহারা হয়ে ছুটে করোটিকার আটটি হাড় ছেঁদ করে বুলেটটি ঢুকে যায় নির্দ্বিধায় মগজে মৃত্যু যুদ্ধে নির্বিকার মৃত চোখগুলো তখনো, আকাশের বুকে ঈশ্বরকে খুঁজে।   ২ নয় বছরের শিশু ক্ষেতের আল ধরে জোনাকি পোকার গুঞ্জনে সুবিশাল বক্ষতলে হাতের তালুতে ঘুরছে লাটিম সে কি জানতো পা ঘেঁষে থাকা […]

Continue reading

Published by HB Rita on Tuesday, January 17th, 2017

শীতের আমেজ

ভোরের কাঁচা রোদে কুয়াশার চাদর মুড়ে ঘুমঘুম আলসে বালিকা শিশির ভেজা কচি ঘাসে ঢেলে দেয় মায়াবী রোদ প্রভাতী হাওয়ায় সরিষার ঘ্রাণ, হলদে চাদরে রঙ্গিন কারুকাজ প্রজাপতি উড়ে যায় মটরশুঁটি ডালে; যেখানে জলমোতি টুপ করে খসে পড়ে জমিনে।   বাহারী ফুলের সৌরভে আড়মোড়ায় উঠে ডালিয়া, গাঁধা, কৃষ্ণকলি আলসে বালিকার বুক জুড়ে কষ্টনীলায় হলুদ-গোলাপি সুখ বার্তা নিয়ে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Thursday, January 26th, 2017

অটামের পাখি

এই যে দেখছো তুমি, মমিজি মাতসুরি জাপান ছেড়ে আমেরিকার নগ্ন পথে গাছেদের পাদদেশ স্তূপাকার দৃষ্টিনন্দিত ঝরা পাতা, লাল-কমলা-হলুদ-খয়েরী বেশে এই যে দেখছো তুমি অটাম কেমন গুটিয়ে নিয়েছে বেলা শীতল রাতের কোলে এসবই ঘোর লাগা সময়, বয়স পরিক্রমায়। জলরাশি থেকে ভীষণ দূরে প্রশস্ত একটি নীল আয়না সেখানে তেত্রিশটি সাদা কালো পাখি উড়ে উড়ে শূন্যে মিশে যায় […]

Continue reading

Published by HB Rita on Friday, April 28th, 2017

রাই কিশোরী

এখানে রাই কিশোরী আধো ঘুম আধো জাগরণে অপেক্ষার পথ চেয়ে, হেমন্তের শুভ্রাকাশে উড়ে যায় শঙ্খচিল বিলের বুকে টলটলে জল ছুঁয়ে উড়ে যায় কুয়াশা বিরহী আঁচল বিছিয়ে রাই কিশোরী তবু আধো ঘুম আধো জাগরণে। বিধু সেথায় বিরহী সুভাস ছড়ায় তমঃ গগন জুড়ে শুষ্কপল্লবী হয়ে তার বুকের জমিনে রাই ঘুমের ঘোরে শিশির হয়ে নোনাজল ঝরে। কপোলে তার […]

Continue reading

Published by HB Rita on Friday, May 2nd, 2014

ক্ষমা প্রার্থনা

এ জন্মে ভাল থেকো দেখা হবে কোন একদিন, হয়তো পুনর্জন্মে এ জন্মে দিতে পারিনি কিছু শুধু রেখে গেলাম মায়াময় ধূলো শূন্যতায় খুঁজে ফেরা অহেতুক আবেগ দুটো হাতের কাঁকন, দিয়েছিলে অবহেলায় মনে রেখো, ছিলাম আমি আদরে কি অনাদরে নিঃস্বার্থ প্রভূভক্ত কুকুর হয়ে চলে গেলাম, অভিযোগ নয়; শতজন্মের অভিমান নিয়ে রেখে গেলাম, অস্ফূট গোঙানি নীরবে একটি চিৎকার […]

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, July 16th, 2018

স্যারট্রালিন

সিরোটনিন নিউরোট্র্যান্সমিটার সংযোগ স্থাপনে; ব্যর্থ অবশেষে মস্তিষ্কের কোষ হতে কোষে, ছিটকে পড়ে বার্তা প্রেরণ শেষে সংযোগ বিফলে কেড়ে নেয় সুখ, অসুখে মস্তিষ্ক ফুলেফেপে ধরাশায়ী উদ্বেগ দিন দিন সরু পথে ঢুকে পড়ে কোথাও সীমাহীন গন্তব্যে বিস্তৃত সে অসুখ জায়গা করে নেয় অবস্থানে দেহে নিরুপায় মানুষ হায় আমারই মত খুঁজে চলে আশ্রয়! অতপরঃ সমাধানে চিকিৎসক লিখে দেয় […]

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, January 29th, 2018

পিঁপড়া

  বিশাল আকাশের নিচে ক্ষুদে পিঁপড়াগুলো কেমন; ধীর লয়ে চলে ওরা জানে দুইয়ে দুইয়ে চার হয় দুই গুণনে দুই; এবারো চার ওরা জানে, ক্ষিদে পেলে স্বজাতী চিবিয়ে খেতে হয় পিঠ ঠেকে গেলে দেয়ালে, ছিঁড়ে ফেলতে হয় পিঁপড়ার দল বুঝে, লক্ষ্যে পৌছাতে হাড় ভেঙ্গে গেলে, আবার উঠে দাঁড়াতে হয়। তবু দিন শেষে রাত, রাত শেষে ভোর […]

Continue reading

Published by HB Rita on Sunday, July 26th, 2015

নপুংসকেরা

বহুদিন, বহু বছরের সম্পর্কগুলো হুট করেই একদিন ভেঙে যায়। কারণে অকারণে ভেঙে যায়। যে মানুষটা একদিন ছিল বেঁচে থাকার উপকরণ, সেই হয়ে যায় মৃত্যুর প্রধান কারণ। এই ভাঙার কোনো কারণ থাকে, কোনো ব্যাখ্যা থাকেনা।  ব্যথা থাকে পুরো বুক জুড়ে, উপশমের কোন মন্ত্র থাকে না। সময়ের সাথে পাখির পালকে উড়ে যাওয়া মানুষগুলো বলে, খুব মন্দ হয়েছে! […]

Continue reading

Published by HB Rita on Sunday, August 16th, 2020

চুরাশি বছর বেঁচে ছিল যে মৃত শিশু

মারা যাবার সময় আমার বয়স ছিল এক সেকেণ্ডে মরে গিয়েও বেঁচে ছিলাম আরো চৌরাশি বছর সেই দীর্ঘ আয়ুষ্কালে জেনে নিলাম পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য। রহস্য উদ্ভাবনে অহেতুক আস্পর্ধায়, ওরা আমাকে জীবন্ত কবর দিল তিন তিনবার পরাধীনতায় প্রথমবার দায়বদ্ধতায় দ্বিতীয়বার অসহায়ত্বে, তৃতীয়বার!   প্রথমবার, কেঁদে কেঁদে হয়রান হলাম! কেউ শুনল না পানসে মুখে আবেগী আহ্লাদে গোলাপী আকাশ […]

Continue reading

Published by HB Rita on Saturday, August 25th, 2018

মা আমায় এখনো শিশু ভাবেন

বলা হয় বয়স বাড়লে প্রতিটা মানুষই শিশুরুপে পরিণত হন। তাদের আচরণ, আবেগ, অনুভূতি, ভাবনা, গ্রহণক্ষমতা, সহনশীলতা সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে। কারণ, প্রবীণতার একটি নতুন জীবনধারায় যুক্ত হয়ে তাঁরা বাকি দিনগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিয়ে বেঁচে থাকেন। কখনো তাদের সেই শিশুসুলভ আচরণ আমাদের বিরক্তির কারণ হতে পারে, আবার কখনো সেটা মায়া-মমতায় সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও মধুর করতে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, May 10th, 2021

1 2 3 4 5 >»
© HB Rita's Official Website 2022
Powered by HB Rita
Loading...