HB Rita's Official WebsiteHB Rita's Official Website
HB Rita's Official Website
  • Facebook
  • Twitter
RSS
  • Home
  • My Poems
    • বাংলা কবিতা
    • মৃন্ময় সিরিজ
    • English Poems
  • Short writing
    • রচনা
    • গল্প
  • Thinking the Humanity
    • Social Activities
  • Parenting and Mental Health
  • Articles
    • প্রবন্ধ-নিবন্ধ
  • About me
    • Contact

মৃন্ময় ৮০

যতটা নিঃশ্বাস চেপে ধরি নিঃশ্বাস নেবো বলে ততটাই ছায়াপথে ক্লান্তি জড়ায় নিবিড় আলিঙ্গনে খেয়ে গেলে শস্য দানা অবশীভূত পাখি প্রবঞ্চক কাকতাড়ুয়া অনড় দাঁড়িয়ে রয়। তাল-লয় জানেনা বিরহ সঙ্গীত মধ্যরাতে বালিশ চেপে অনিয়ন্ত্রিত দহনে তুমি কাঁদো! আমিও কাঁদি নিঃশ্বাস চেপে রাখা বুকে করুণ গোঙানিতে; ভুল ব্যাকরণে কেবল সুর পাল্টে যায়। তুমি জানো! আমিও জানি! বুকের মধ্যে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Wednesday, May 30th, 2018

মৃন্ময় ৭৯

গোঁজামিল দিয়ে এলোপাথাড়ি চলছে সংসার সব আছে! কিছুই নেই থেমে যাওয়া নিঃশ্বাস বিচলতায় গতি বাড়ে-কমে সম্মোহন কাটিয়ে শীতল গঙ্গাস্রোতে, ঢল নামে। নির্জীব দিগন্ত রেখায় একটি পাখির উড়াউড়ি তুমি আমার-আমি তোমার ভাবনার ছেদ কাটিয়ে এক পশলা বৃষ্টি, সবুজের গায়ে গোঁজামিলে চলে শিশিরের কান্না তখনো, নিজ দায়ে। সরল পথে হোঁচট খেয়ে জীবন থেমে নেই চলছে অবিরত-স্বস্তি নেই […]

Continue reading

Published by HB Rita on Sunday, April 1st, 2018

মৃন্ময় ৭৮

তুমি বললে আমরফোফালুস টিটানুম এনে দিতে পারি কিংবা সেইপ্রিপেডিয়াম কালকাল্স অথবা হেঁটে যেতে পারি গাঢ় ধুম্রকুয়াশার বনে যেখানে সরু ডালের আগায় মনুয়া পাখি বসে দোল খায়। তুমি চাইলে ভরা পূর্ণিমায় তোমার হাত ধরে বিপদসংকুল কাঞ্চনজঙ্ঘা ঘুরে আসতে পারি নিমিষেই অত্যুজ্জ্বল রৌদ্র থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিতে পারি লুৎ মরুর বুকের দহন। তুমি হাত […]

Continue reading

Published by HB Rita on Friday, October 6th, 2017

মৃন্ময় ৭৭

ভালোবাসা নিয়ে কত কি করেছো কত বিবাদ-বিরহবিচ্ছেদ শেষে হৃদয়ে ক্ষত কত হল কাটা-ছেঁড়া, ফ্যাকাশে ভোর এখন অনুভবের দৃষ্টিসীমায় ডাহুক ডেকে যায় নগরীর পান্থনিবাসে সিগারেটের পোড়া ছাই, অযত্নে এখন অনুভূতিতে হৃদয়ে রক্ত ঝরেনা শিরিষের ডাল ছুঁয়ে বিবাগী পাখি সঙ্গীহীন, তবু সহচর খুঁজেনা। চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে অকস্মাৎ তুমি এসে বসো পাশে নিমন্ত্রণ করিনি, কিভাবে এলে এলেই যখন […]

Continue reading

Published by HB Rita on Tuesday, October 3rd, 2017

মৃন্ময় ৭৬

এখানে বরফ রাতগুলো হয় ঠিক মৃত্যুর মতই শীতল সফেদ চাদরে ঢেকে যায় আপাদমস্তক ঘর-বাড়ি টিলা-পাহাড়, মিনারগুলো ডুব সাঁতারে আকাশ ছোঁয়ার দলে, যেন গলা উচিয়ে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টায় ব্যাকুল। এখানে কোলাহল নেই, পিঠা উৎসব-আঁধারের মাঠে আগুনের উত্তাপ নেই ঝিমিয়ে থাকা শহুরে পথে কুয়াশা নেই এখানে কেবল ঝরে পড়া শিশির নিষ্ঠুরতায় বরফ হয়ে যায় বৃক্ষের ডালপালা পল্লববিহীন […]

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, October 2nd, 2017

মৃন্ময় ৭৫

আকাশের ঠিক নিচে মাটি আর ঘাসে যেখানে মিশে আছে উষার আকাশ-অপার সৌন্দর্য নিয়ে রহস্যের ইন্দ্রজালে ভেঙ্গে গেলে ঘুম, উঁকি দেয় শুকতারা তাকিয়ে দেখি শিশিরের জলে ভিজে আছে পোড়া জমি। হেমন্তের বাঁশপাতায় মরমর ধ্বনি-সুর বাজাতেই, কুয়াশার চাদর তলে কৃষক-কৃষাণী জড়োসড়ো হলো প্রেমে পৃথিবীর মত বুড়িয়ে গেল রাতের তারা, চাঁদের আলো তবু, ধোঁয়াটে ধানক্ষেতে নিয়মমাফিক-কাকতাড়ুয়া দাঁড়িয়ে থাকে। […]

Continue reading

Published by HB Rita on Sunday, October 1st, 2017

মৃন্ময় ৭৪

বড় বেশি বর্ণহীন জীবন, এখানে কেউ কারো নয় দ্বায়বদ্ধ জীবনের চতুরতায় কেবল অন্তরীক্ষে ফুঁসে উঠে মেঘ যন্ত্রণার করুণ অভিমানে ক্নান্ত দেহ তখনো খুঁজে- জল ভেজা শিহরণ। অতঃপর, ভাঙা পাঁজরের নিচে এক’পা দু’পা করে তুমি জায়গা করে নাও ভালোবাসার দলিল হাতে। বাঁচার নেশায় তখন নীলসন্ধ্যার কপালে এঁকে দেই লাল টিপ নিঃশ্বাস ছেড়ে দেখি সবুজ অরণ্যে গোলাপি […]

Continue reading

Published by HB Rita on Wednesday, September 6th, 2017

মৃন্ময় ৭৩

এভাবেই ক্রমশ রাস্তা যায় সরে সকালে এক কদম, দুপুরে দুই, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বিরতিহীন নীরবতায় অস্ফুট গোঙানি মনে হয় আজ নয়, কথা হোক কাল তারপর দীর্ঘ বিরতিতে এভাবেই ব্যবধান বাড়ে।   পাশাপাশি বিপরীতমুখী দুটি নিষ্প্রাণ দেহ আলোচনা সময়ের দাবী, বোঝেনা কেহ ঝুলে থাকা ফ্যানে নিঃশ্বাস বাতাস ছড়ায় লাগামহীন শেকলবাঁধা অক্ষমতা জন্মবৃত্তান্ত খুঁজে শুয়ে পড়ে এলোমেলো […]

Continue reading

Published by HB Rita on Wednesday, August 2nd, 2017

মৃন্ময় ৭২

মৃন্ময়, তোমাকে নিয়ে একটা রাত কাটানোর ইচ্ছে জাগে। সে রাতে বুকের উঠোনে জন্ম নেবে সমর্পণের দূর্বাঘাস বাতাসে ভেসে বেড়াবে সামুদ্রিক গন্ধ, নীলতিথী পেরিয়ে লাল ফুল চুপিচুপি গাঢ় রাত্রিতে তোমার গা ঘেঁষে শুয়ে সব ক’টা বোতাম খুলে দেব কানামাছি দিন শেষে হলুদ উত্তাপে তোমার বুকে এঁকে দেব একটি চন্দ্রবিন্দু; নত মস্তকে। তারপর, বুকের মধ্যে আগুন অনুভব […]

Continue reading

Published by HB Rita on Sunday, March 5th, 2017

মৃন্ময় ৭১

বসন্তের অর্চার্ডে ভালোবাসা কেমন ছুঁয়ে থাকে রক্তডালিম গায়ে তাই দেখে, অভিলাষী চেতনায় তুষার অধীনে ঘুমিয়ে পড়া শরীর, সোনালী রোদ হয়ে জেগে উঠে তৃষ্ণায়। অতঃপর, বুকের উপর শুয়ে পড়া সাদা বরফে পিকাসোর মতো তোমার দেহ এঁকে দিতে স্বাধ হয়! ও আমার চোখের তারায় ভেসে থাকা জলপদ্ম বলে দাও, আমি তোমাকে কীভাবে ভালোবাসি? আমি তোমাকে আবাদে-বিরোধে মাত্রারও […]

Continue reading

Published by HB Rita on Wednesday, March 1st, 2017

টানাপোড়ন

ছেলেটা সেই কখন থেকে গাল ভার করে আছে বাবার কাছে যাবে বলে।  আট বছরের ছেলেকে শায়লা কিভাবে বুঝায় যে, বাবাকে চাইলেই পাওয়া যাবে না! শায়লা পরম আদরে ছেলের মাথায় হাত রাখে, তার ভেতরটা কেঁদে উঠে।  ছেলেকে ডাকে, -হামি -হুম। ঠোঁট ভেঙে হামি জবাব দেয়। -বাবা সামনের সপ্তাহে আসবে তোমাকে দেখতে -নাহ! আমি বাবাকে এখন দেখতে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Saturday, September 21st, 2013

জীবনচক্র-ছন্দপতনে মৃত্যু যন্ত্রণা

চাহিদা মানব সৃষ্টির এক বিশাল প্রয়োজন। তিনবেলা খাওয়া, ভাল কাপড়, একটু ভাল থাকা, বেশি না হোক সামান্য সুখ, এক টুকরো জমিন, কিছু প্রাপ্তি, একটু ভালবাসা, একটা পরিবার….. এ সবই আমাদের প্রয়োজন। প্রয়োজন যে সব সময় পূরণ হয়, তা নয়। চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণ হলে ভালো! না হলেই বিষাদে আমাদের মন ভারাক্রান্ত হয়। পৃথিবীর বুকে অগনিত অসুখী মানুষ […]

Continue reading

Published by HB Rita on Sunday, February 1st, 2015

বেঈমানের বেটি নাজমা

বেঈমানের বেটি নাজমা

শমশের আলীর মা চেঁচাচ্ছেন। রাগে তার চোখমুখ ফেটে পড়ছে। পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন শমশের আলী। “তরে কইসিলাম রে শমশের….বউরে দুনিয়া চিনাইস না! হেরে কলেজ যাইতে দেইস না! কথা হুনলি না, অহন বুঝ! বউ তালাকনামা লইয়া আইসে! বংশের ইজ্জত আর রইলো না। কুলাঙ্গার পুলা তুই গলায় দড়ি দে। এই দিন দেহার লাগি কি বউরে কলেজ পাঠাইসিলি রে শমশের? ওহ আল্লাহ! ওই বেঈমান বেডির বিচার করো। আমার পুলারটা খাইয়া পিন্দা হে আমার পুলার লগেই বেঈমানি করলো!”  শমশের আলীর মা মাটিতে বসে সেই কখন থেকে কাঁদছেন আর অভিশাপ দিয়েই যাচ্ছেন নাজমাকে।  নাজমা খুব শান্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে নারিকেন গাছটার গায়ে হেলান দিয়ে। হাতে তার সাদা কাগজে সিল মারা একটি খাকি রঙের বিবর্ণ খাম।  আজ আকাশে মেঘ করেছে। ভোর থেকেই মেঘের গুরু গুরু শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো। আলো ফুটতেই বাজের ঝলকানি আর বৃষ্টি।মা বলেছিল, “যাইস নে নাজমা। তাগর কোন ভরসা নাই, কী থেইকা কী কইরা বয়! কাউরে দিয়া খাম পাঠাই দিমু নে।” নাজমা তবু বের হলো। সাদা কাগজে জীবনের কালো অধ্যায়টুকুর সমাপ্তি সেরে এখন সে ঝড়বৃষ্টি মোকাবেলায় প্রবল উদ্যম। আজ মৌতাতের মতই যেন যা আছে বাকী তা শেষ করার তাগিদ অনুভব করছে নাজমা। শ্লোক বাজছে। ভেতরের সব তাপ–উত্তাপ সব মহাকর্ষীয় সুর হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রান্তের দিকে। আজ শেষটুকু শেষ হতেই হবে।  এখন অবশ্য বৃষ্টি নেই, আর্দ্রীকৃত ভূমিতে রোদের কোন তাপও নেই, যা আছে তা ক্যাতক্যাতে কাদা, সাথে ভিজা পায়ে ছিঁড়া স্যান্ডেল।   নাজমা বেগম আর শমশের আলীর সংসার ছিল ছয় বছরের। একটি মেয়ে রয়েছে তাদের। স্বামী মাদকাসক্ত, পাড়ার লোকেরা বলেন ‘মদখোর’/’গাজাখোর! নাজমার বয়স যখন ১৮, তখন তার বিয়ে হয় শমশের আলীর সাথে। বিয়ের বছর খানেক পরেই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। নাজমা বিয়ের পর থেকেই জানতো তার স্বামী মাদকাসক্ত।  কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের একটি মেয়ে হয়ে, সংসারে থেকে যাওয়া ছাড়া বিকল্প আর কিছুই ছিল না তার সাধ্যে। এ নিয়ে নাজমা তার বাবাকে কিছুই জানায়নি। কারণ সে জানে, জানিয়ে কোন কাজ হবেনা, তার বাবাও মাদকাসক্ত।  মা’কে বলেছিল সব। কিন্তু মায়ের অশ্রু বিসর্জন দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা। নাজমা বহুবার বাধা দিতে চেয়েছে শমশেরকে। কোন লাভ হয়নি। উল্টো এ নিয়ে কথা বলতে গেলেই নাজমার উপর চলতো গালাগালি, শারীরিক নির্যাতন।  শাশুড়ী বলতেন ”সহ্য করো গো মা। আমরা এর থেইকাও অনেক বেশী কিছু সহ্য কইরা সংসার করসি। কার ঘরে নেশাপানি না হয়! পুলারা এরুম একটু আধটু করেই।  কি আর করা! মাইয়া মানুষের কপালই এমন।”  নাজমা তার মা–শাশুড়ির মত ‘মাইয়া লোকের কপাল’কে মানতে চায়নি। সে চেয়েছিল একটি ‘নিজ’ কপাল গড়তে।  তাই সে উপায় খুঁজছিল কিভাবে এই সঙ্কট থেকে মুক্ত হওয়া যায়।  নাজমা চায়নি তার সন্তান বড় হয়ে কোনদিন একই নিয়মে জীবন টানবে, অধিকার,স্বাধীনতা ভুলে গিয়ে অন্যায়, অত্যাচার মেনে নিয়ে কারো ঘর করবে। নাজমা চেয়েছে পরিবর্তন। আর তাই সে দীর্ঘদিন চেষ্টার পর খুব কৌশলে স্বামীকে মানিয়ে নিয়ে প্রতিবেশীর সাহায্যে কলেজে ভর্তি হয়। নাজমা পড়াশুনা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।  কারণ সে জানতো, প্রতিবাদ করতে হলে, নিজ অধিকার আদায় করতে হলে তাকে স্বাবলম্বী হতে হবে। তাকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে হবে। সহজ ছিল না পড়াশুনা নিয়মিত করা। তবু সব কিছু মেনে নিয়ে নিজ নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে নাজমা তার প্রচেষ্টায় অটল থেকেছে। কতবার যে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে নাজমার সমস্ত বই খাতা ছিঁড়ে ফেলেছে শমশের!  তবু একটা শব্দ উচ্চারণ করেনি সে, ছিঁড়ে ফেলা টুকরো টুকরো কাগজগুলো একসাথে করে স্কচটেইপ লাগিয়ে পড়েছে।  এভাবেই নাজমা কলেজ পর্যন্ত তার পড়াশুনা শেষ করতে পেরেছে। নাজমা তখনো চাকরিতে ঢুকেনি। একদিন মাঝরাতে শমশের ঘরে ঢুকতেই ঝাঁপিয়ে পড়লো নাজমার উপর।  তার শরীরে তখন এলকোহলের গন্ধ, সাথে গাঁজার ঝাঁজালো গন্ধে নাজমার বমি হবার যোগার হলো। এই গন্ধ নাজমা সয়ে আসছে সেই ছোটবেলা থেকে। বাবার গায়েও এমন গন্ধ থাকতো।  কিন্তু মাকে কখনো নাজমা প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখেনি। তবে নাজমা মনে মনে ভীষণ রাগ করতো। মায়ের নীরবতা তাকে আরো বেশি হতাশ করতো।  ধাক্কা দিয়ে নাজমা তাকে সরিয়ে দিলো। শমশের চিৎকার করে উঠলো। পাশেই শুয়ে ছিলো তাদের ছোট শিশুটি। সেও জেগে উঠলো, তাকিয়ে রইলো পিটপিট চোখে।  শমশের তখন ইতিমধ্যেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো। ক্রমাগত চঢ় কষতে লাগলো তার গালে, গায়ে। ছোট মেয়েটি তখন কাঁথা গায়ে মুখঢেকে থরথর করে কাঁপছিলো।  এই প্রথম সেদিন নাজমা শমশেরকে থামাতে ধাক্কা মেরে খাট থেকে ফেলে দিলো। হঠাৎ করে ধাক্কা খেয়ে শমশের মেঝেতে পড়ে গেল। অতিমাত্রিক মাদক সেবনে আর উঠতে পারলো না।  পরদিন সকাল পর্যন্ত মেঝেতেই পড়ে রইলো। এই প্রথম নাজমা প্রতিবাদ করতে শিখলো। আর সেটাই হলো কাল, অনিরাপত্তা ও হিংস্রতা বাড়িয়ে দিলো শমশের আলী ও তার পরিবারের।  দিন দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়তে লাগলো। একটা সময় নাজমা তার মেয়েকে নিয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হলো।  যখন নাজমা শমশের আলীকে তালাক দিতে সিদ্ধান্ত নিলো, তার বাবা বাধা দিলো। কিন্তু মা কিছুই বললো না। নাজমা অবাক হলো।  জানতে চাইলো মায়ের নীরবতার কারণ।  মা বললেন, “শোন নাজমা। আমি যা করতে পারিনাই, তুই তা করতে পারবি, কারণ তুই আইজ নিজেরে শিক্ষিত বানাইসোস।আইজ তুই ভালা একটা চাকরি কইরা নিজ পেট, নিজ সন্তানের পেট চালাইতে পারবি। নেশাখোর স্বোয়ামির লগে তোর ঘর করন লাগবো না।  এই পুরুষগর দেমাগ কই জানোস? তাগর দেমাগ আসলে পুরুষ বইলা না, তাগর দেমাগ হইলো মাতব্বরিতে। এই যে পকেট থেইকা ট্যাকা বাইর কইরা সংসারে তেল, ন্যূন, চাল–ডাইল যোগান দেয়, হেইডাই তাগর দেমাগ। এই যোগান অহন তুইদিবি। হেরপর দেখ, তাগর দেমাগে কেমনে আগুন লাগে।”  নাজমা বলেছিল, ‘মা। তুমি এতকিছু জানো, বুঝো, অথচ বেঁচে থেকেও তোমার নিজের জীবনের একটা দিন উপভোগ করতে পারলে না?’ মা তখন চোখ মুছতে মুছতে শুধু বলেছিল, ‘সুযোগ পাইনাই রে মা। আমার সুযোগ আছিল না।! আমি যা ঢোঁক গিলা হজম করসি, তুই হেইডা করবি না।‘  হ্যাঁ! নাজমা সেটা করেনি। নাজমা চায়নি তার শিশু মেয়েটি কাঁথার ভিতর মুখ লুকিয়ে চোখ পিটপিট করে মাঝরাতে ভয়ানক সব তান্ডব দেখুক।  সে চায়নি শিশু মেয়েটি আতঙ্ক নিয়ে বেড়ে উঠুক, মানসিক সঙ্কটে পড়ুক। নাজমা চেয়েছে তার মেয়েটি একটা সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠুক। একটা নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে উঠুক।  শমশের আলীর মা নাজমার দিকে তাকিয়ে তখনো চিৎকার করেই যাচ্ছেন…’যে স্বোয়ামি  তোরে ভাত দিলো, কাপড় দিলো, জায়গা দিলো, পড়ার সুযোগ দিলো, তুই কিনা হেই স্বোয়ামির পিঠে লাথি মারলি? এ লো বেঈমানের বেটি নাজমা…………!’ 

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, March 2nd, 2015

প্রসূতি

এক সমুদ্র জলরাশি চোখের কোণে তখনো স্থবির ইন্দ্রিয় সচল দৃষ্টিপাত বরফ শীতল, রুদ্ধ কারায় মহাপ্রস্থানের অপেক্ষায় বন্দিনী এক জীবনের সমাপ্তি অনাকাঙ্ক্ষিত যাত্রায়; কিছু ব্যর্থতা, কিছু প্রাপ্তি।   রাষ্ট্রীয় দণ্ডবিধিতে দণ্ডিত, সামাজিক অপরাধে আলোচিত; নয় বিবেচিত তিনি রুক্ষ, নিশ্চিত শ্রেষ্ঠ তিনি একজন প্রসূতি।   প্রসূতির বুকের গহীনে বিশাল একটি নীল পাথর পিচ্ছিল শ্যাওলা জমা পথ; স্তুপাকারে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Monday, May 2nd, 2016

দ্রোহীকন্যা

  আকাশনীলায় লালিত বহু বছরের দ্রোহ একদিন প্রবল বর্ষণে ধরাশায়ী হলো ধরণীর জমিনে দ্রোহবর্ষণে হাঁটুজল থৈ থৈ চারিধার ছন্দের পতন মিশে একাকার তপ্ত রৌদ্রশিখায় জলজ জ্বলন্ত আত্মা হয়ে, বাষ্পীভূত হয়ে উঠলো দ্রোহীজল। রক্তে ভেসে গেলো সে জলের দ্রোহ জমিনের বুক চিরে অগ্নুৎপাত ঘটিয়ে জেগে উঠলো এক দ্রোহীকন্যা।   জমিন ফেটে আর্তচিৎকারে হামাগুড়ি দেয়া দ্রোহীকন্যা…. দেখে […]

Continue reading

Published by HB Rita on Wednesday, February 18th, 2015

1 2 3 4 5 >»
© HB Rita's Official Website 2023
Powered by HB Rita
Loading...